বিবরণ: এ স্থাপনাটি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা থেকে প্রায় ৪.৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। জমিদার রুধেষ বাবু পোতাজিয়া ইউনিয়নের বড়াল নদীর তীরে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এককালীন বাংলার জমিদারী আমলে পোতাজিয়া রাউতারার প্রভাবশালী অত্যাচারী জমিদার হিসেবে রুধেষ বাবুর পরিচিত ছিলো। তার বিশাল জমিদারী পরিচালনার জন্য গড়ে তুলেছিলেন বিলাশবহুল এই জমিদার বাড়ী। প্রায় ১০ একর এলাকা জুড়ে এই বাড়ীটির চারপাশে ১০ফুট উচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিলো। বাড়ীটির ভিতর ২৫ টির বেশি ছোট বড় অসংখ্য কক্ষ, জলসা ঘর, কারাগারসহ প্রশাসনিক কার্যক্রমের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান ছিলো। খুব দাপটের সাথে চলতো রুধেষ বাবুর জমিদারী কার্যক্রম। তার আমলে সাধারণ প্রজারা বেশ অসহায় ভাবে জীবন যাপন করতো। ৫ তলা বিশিষ্ট এই জমিদার বাড়িতে আছে সুরঙ্গ পথ, প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর নজরকাড়া ডিজাইনের সিঁড়ি। রুধেষ বাবু প্রতিদিন রাতেই তার জলসা ঘরে সুন্দরী নর্তকীদের দিয়ে নাচ গান করাতো। বাড়িটি বড়াল নদীর তীরে হওয়ায় জমিদার রুধেষ বাবু নৌ পথেই বেশিরভাগ যাতায়াত করতো। প্রাচীন স্থাপত্যের অনুপম নিদর্শন এই জমিদারবাড়ি থেকে নদীতে যাওয়ার জন্য বিশাল সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছিলো। এ সিঁড়ি দিয়েই তারা নদীতে গোসল করতো। নদীর সম্মুখভাগে নির্মাণ করা হয়েছিলো বিশাল উঁচু দেয়াল কথিত আছে, নদী থেকে মাঝে মধ্যেই কুমির এই বাড়িতে উঠে আসতো আর কুমিরের আক্রমণ ঠেকাতেই দেয়া হয়েছিলো এই উঁচু দেয়াল। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত ১৯৫৭ সালের জমিদারী শাসনের অবসান ঘটার সাথে সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে বিলাস বহুল এই জমিদার বাড়ি ফেলে রেখেই রুধেষ বাবু ও তার স্বজনরা পাড়ি জমায় ভারতে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস